আম্পান গলাচিপায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি ৷ সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপক‚লীয় এলাকার লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এ কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘ‚র্ণিঝড় আম্পান আরও ঘনীভূত হয়েছে। এটি আজ পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। ১৯ মে মধ্যরাত থেকে ২০ মে বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকুল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এতে কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘ‚র্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপক‚লীয় জেলা পটুয়াখালীতে ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় এসব এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।গলাচিপা উপজেলায় এ বিষয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানা যায়। সোমবার বিকালে উপজেলা কার্যালয়ে থাকা ঘূর্ণিঝড় অফিস থেকে হুইসেল বাজিয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে এবং ১১৭ টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
যেকোন সময় মানুষ এসে আশ্রয় নিতে পারবে। গলাচিপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।